বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন
রাবি প্রতিনিধি::
ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবির গুলিতে তিনজন নিহতের ঘটনায় মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অধ্যয়নরত ঠাকুরগাঁও জেলা সমিতি।
রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিটি পালন করা হয়। এসময় বিজিবির দেয়া সকল মামলা প্রত্যাহারসহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঁচ দফা দাবি জানায় তারা।
তাদের দাবিগুলো হলো- নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত বিজিবি সদস্যদের শাস্তি প্রদান, নিহতদের ক্ষতিপুরণ ও আহতদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা, সীমান্তবর্তী এলাকাতে সকল প্রকার মাদক এবং চোরাচালান বন্ধ করা, সীমান্ত এলাকাতে সাধারণ মানুষ এবং বিজিবির সদস্যদের মধ্যে শান্তি বজায় রাখা, ওই ঘটনায় এলাকাবাসীর নামে দেওয়া সকল মামলা প্রত্যাহার করা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিজিবির সদস্যরা বলেছে তারা মাদক ও চোরকারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হলো তাদের গুলিতে নিহত বারো বছরের শিশু জয়নুল কোন মাদক আর চোরাকারবারের সাথে যুক্ত ছিলো। যাদেরকে নিরাপত্তার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে তারাই মানুষের বুকে গুলি চালালো। এখন আবার তারা এলাকাবাসীর নামে মামলা করছে। মৃত ব্যক্তিদের নামেও মামলা দিয়েছে এটা কোন ধরনের প্রহসন।
বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশে বক্তারা আরও বলেন, জনগনের ট্যাক্সের টাকায় কেনা অস্ত্র জনগনের বুকে চালাতে আপনাদের একটুও বিবেকে বাঁধে নি। আপনারা জনগনের আতঙ্ক নয়, বন্ধু। আপনাদের এমন কর্মকান্ডের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই, অনতিবিলম্বে সকল মামলা প্রত্যাহার করুন।
ঠাকুরগাঁও জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলমের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য দেন, সংগঠনের সভাপতি সোহানুর রহমান, সহসভাপতি আনিসুর রহমান, সাংগাঠনিক সম্পাদক বেলাল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, সদস্য ঈসমাইল হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামের হবিবর রহমানসহ আরও কয়েকজন যাদুরানী হাটে গরু বিক্রি করতে যান। সে সময় বেতনা ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা তাদের গরুকে ভারত থেকে পাচার হওয়া গরু বলে জব্দ করতে গেলে এলাকাবাসী এবং বিজিবির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় বিজিবি গুলি করলে নবাব উদ্দিন (৩৫), সাদেক (৪৫) ও জয়নুল (১২) নামের তিনজন নিহত হয়।